প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে
আয়োজিত চারদিন ব্যাপী ‘অপ্রতিরোধ্য শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোকচিত্র
প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী,
একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য
প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাঙালির ইতিহাসে ঘৃণ্যতম
দিন। এই দিনটিতে কতিপয় মানুষ নামের অযোগ্য-নরপশু জাতির জনককে সপরিবারে
হত্যা করেছে। এই মানুষগুলো এতই ঘৃণ্য যে, তারা কেবলমাত্র বঙ্গবন্ধুকেই
হত্যা করেনি, তারা হত্যা করেছে তাঁর নবপরিণিতা পুত্রবধূকে, এমনকি শিশু
রাসেলকে। সেদিন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। তারই
ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের উন্নয়নের কাণ্ডারি
হিসেবে পেতে সক্ষম হয়েছে।
০১ অক্টোবর ২০২১, শুক্রবার, সন্ধ্যা ৬.৩০টায়
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে ‘অপ্রতিরোধ্য শেখ হাসিনা’
শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রফেসর
ড. অনুপম সেন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের
ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার
ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক।
প্রফেসর ড. অনুপম সেন
তাঁর বক্তব্যে ‘শেখ হাসিনাকে পৃথিবী থেকে বারবার সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র
হয়েছে’ উল্লেখ করে বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার অনেক আগেই যখন শেখ হাসিনা
বাংলার মানুষের গণতন্ত্রের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম শুরু করেছিলেন,
সেই সময়ে ১৯৮৮ সালের ২৪শে জানুয়ারি তাঁকে হত্যা করার প্রচেষ্টা চালানো হয়।
কারণ, তিনি সেই সময়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার সপক্ষে জনগণের
গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে রূপ দেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের এক সভায় যোগ দিতে
এসেছিলেন। জনগণ মানবব্যুহ রচনা করে তাঁকে রক্ষা করেছিল। ২২ জন আত্মবিসর্জন
দিয়েছিলেন। তারপর ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট তাঁর উপর নেমে এসেছিল রাষ্ট্রীয়
সন্ত্রাস, যাতে তিনি ১৯৯৬ সালের মতো আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে না পারেন।
ড.
সেন ১৯৯৬-২০০১ কালপর্বের দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের বিবরণ দিয়ে
বলেন, এই কালপর্বের শেখ হাসিনা সরকারের দু’টি অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
একটি হলো পার্বত্য শান্তিচুক্তি, অপরটি হলো ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত গঙ্গা
পানিবন্টনচুক্তি। তিনি পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পর্কে বলেন, ১৯৯৭ সালে
স্বাক্ষরিত পার্বত্য শান্তিচুক্তির মাধ্যমে দেশের প্রায় এক দশমাংস জুড়ে
যে-প্রচণ্ড অশান্তি ও যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছিল, তার অবসান ঘটে। এই চুক্তির
ফলে এই বিরাট অঞ্চলে কেবলমাত্র যে শান্তিই ফিরে এসেছে তা নয়, বহু সাধারণ
মানুষ ও সৈনিকের জীবনহানির আশঙ্কারও পরিসমাপ্তি ঘটেছে। এই ধরনের চুক্তির
জন্য বিশ্বের অনেক নেতাই শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। পার্বত্য
শান্তিচুক্তিটি এমন একটি অসাধারণ চুক্তি, যার জন্য শেখ হাসিনাও শান্তিতে
নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য ছিলেন, তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া উচিত ছিল।
শান্তি স্থাপনে এর চেয়ে অনেক ছোট উদ্যোগকেও শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করার
হয়েছে।
ড. অনুপম সেন আরও বলেন, ২০০৯ সালে হাসিনা সরকার দ্বিতীয়বার
ক্ষমতায় আসার পর এখনও পর্যন্ত এই বারো বছরে বাংলাদেশকে যেভাবে রূপান্তরিত
করেছে, তার ফলে বাংলাদেশ আজ একটি দরিদ্র, বিদেশি সাহায্যধন্য বা কৃপাপুষ্ট
দেশ নেই। বঙ্গবন্ধু বাঙালির জন্য প্রথম প্রকৃত রাষ্ট্র সৃষ্টি করেন। সেই
রাষ্ট্রটিকে আজ বিশ্বমানচিত্রে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাঁরই
কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার শাসনকাল-ইংল্যান্ডের রাণী প্রথম
এলিজাবেথের মতো আজ থেকে ৫০০ বছর পরেও বাঙালির ইতিহাসে স্বর্ণযুগ হিসেবে
স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর একেএম
তফজল হক ‘শেখ হাসিনাই এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি’ উল্লেখ করে
বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দ্রুত উন্নয়নের মাধ্যমে দরিদ্র বাংলাদেশকে উন্নতির
শিখরে নিয়ে যাচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম বলেন,
দারিদ্র ও ক্ষুধামুক্ত এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষাঋদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে
এগিয়ে চলেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মানুষ এখন বিশ্বাস করে, শেখ
হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত
ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার জনাব খুরশিদুর রহমান, বিজ্ঞান ও
প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ, উপাচার্যের উপদেষ্টা ও চিফ
ইঞ্জিনিয়ার জনাব মো. আবু তাহের, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জনাব শেখ মুহাম্মদ
ইব্রাহিমসহ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির গণিত বিভাগে আন্তর্জাতিক গণিত দিবস ২০২৪ উদযাপন
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ইইই বিভাগের বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন ফেয়ারের সমাপনী
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে শুরু হলো ইইই বিভাগের দুদিনের বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন ফেয়ার
Read MoreThe "Robo Soccer Competition" organized By- Department of EEE, Premier University
Read MoreMarch! Month of glory and joy for Bangladesh.
Read Moreব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হলো প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আইটি ফেস্ট-২০২৪।
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চট্টলবীর আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
Read More